স্বদেশ ডেস্ক:
গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গণংযোগে হামলার ঘটনায় ছয়বার থানায় গিয়েও মামলা করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, হামলার ঘটনার থেকেই আমাদের মামলা রেডি কিন্তু সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা হচ্ছে আমরা যখন কোনো বাদিকে নিয়ে যাই কোনো না কোনোভাবে তারা খবর পেয়ে যাচ্ছে এবং বাদিকে হুমকি দিচ্ছে। ফলে বাদি এসে ভয়ে চলে যাচ্ছে। ছয় বার এরকম হয়েছে। ছয় বার বাদি গিয়েও ওই কাগজপত্রে সাইন করার সাহস দেখায়নি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটায় গোপীবাগের ঘটনায় আহত সময় টিভির ক্যামেরা পারসন আশরাফুল ইসলামকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক বলেন, ওইখানকার আওয়ামী লীগ সমর্থিত যারা আছেন তারা বাদিকে জীবনের হুমকি দিচ্ছেন। আর যারা আমাদের আহত হয়েছেন। তার উপর তাদেরকে আসামি করে মামলা দেয়া হয়েছে। তাদের আশঙ্কা তারা থানায় মামলা করতে গেলে তাদেরকে সেখানেই আটক করে রাখা হবে। এমনকি কোর্টে যেয়েও তারা মামলা করতে ভয় পাচ্ছে। এরকম একটা ভয়ানক পরিস্থিতির মাঝে আমরা রয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীদের উপর আগে হামলা করা হয়েছে। আমার এক কর্মীকে তারা বিল্ডিংয়ের মধ্যে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো। তখন আমি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে আমার সেই সহকর্মীকে রক্ষা করতে আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। গণমাধ্যম কর্মীরা সেটা দেখেছে। সমস্ত ফুটেজে রয়েছে।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা ওই দিনের ঘটনার বিষয় ইশরাকের বিশ্লেষণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে ওই দিনের ঘটনাটা গণমাধ্যমসহ সবাই দেখেছেন। সেখানে গণমাধ্যমের কর্মীরা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। আমরা আজকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে তাদেরকে সান্ত্বনা জানাতে এসেছি। তিনি বলেন, সময় টিভির যিনি ক্যামেরাম্যান আশরাফুল ইসলামের শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নিলাম এবং আহত আরেকজন সাংবাদিক নয়া দিগন্তের তৌহিদ সাহেব- উনাকেও আমরা দেখেছি। উনিও আহত হয়েছেন গুরুতর আহত। আর সার্বিক পরিস্থিতি হচ্ছে ঐদিন সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর বড় বড় ইট নিক্ষেপ করা হয়। এটার কোনো প্রয়োজন ছিলো না।
ইশরাক বলেন, একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম শেষ দিকে এসে এরকম ঘটনা ঘটানোর দরকার ছিল না। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, আমাদের যারা হতো তাদেরকে উল্টা আসামি করে আবার একটি মামলা করা হয়েছে। ওয়ারী থানার কিছু কর্মকর্তা একেবারে সরকার দলীয় ক্যাডারের ভূমিকা পালন করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ডিবি অফিসে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমাদের ২৫ জন নেতাকর্মীর জামিন হয়েছে আরো যারা আছেন তাদের জামিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা পুরো প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছেন, বিশেষ করে ওয়ারী থানায় যারা আছেন।